Learn how to get Free YouTube subscribers, views and likes
Get Free YouTube Subscribers, Views and Likes

পদাবলী কীর্তন / জ্ঞানদাস / সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু/ কন্ঠ- শঙ্কর চন্দ্র ঘোষাল

Follow
Dr Subrata Ghoshal সুরের বাঁধনে Sobu

শুভ রাধাষ্টমী

কবি জ্ঞানদাস (শ্রীমঙ্গল, মঙ্গল ঠাকুর বা মদনমঙ্গলা নামেও পরিচিত ছিলেন) একজন মধ্যযুগীয় বাংলা কবি। তার জন্ম [[১৫৩০] সিউড়ী ও কাটোয়ার অন্তর্বর্তী কাঁদরা নামক গ্রামে মঙ্গলাখ্য বিপ্রবংশে। তিনি ষোল শতকের পদাবলী সাহিত্যের একজন সেরা কবি। তার সুনাম চন্ডীদাস বা বিদ্যাপতির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।তার জীবন সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানা জায় না। তিনি ছিলেন ভক্ত বৈষ্ণব  সে জন্য তার পদে ভক্তের আবেগ বেশি পাওয়া যায়। সেকালের বটপত্রে জ্ঞানদাস সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য আছে।
জ্ঞানদাস একজন উৎকৃষ্ট পদাকার ছিলেন। তার কিছু স্মরনীয় পদ আছে। যেমন, রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর, কিংবা সুখের লাগিয়ে এ ঘর বান্ধিলুঁ ইত্যাদি। এই সব পদ বৈষ্ণব সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। পদাবলীর গুণ ও মান বৃদ্ধিতে জ্ঞানদাসের একটি বিশিষ্ট ভূমিকা আছে। ষোল শতক পদাবলীর  স্বর্ণযুগ। জ্ঞানদাস এই স্বর্ণযুগের কবি। ভক্তের অনুভূতিকে কবিতায় প্রকাশ করার অপূর্ব প্রতিভা তার মধ্যে ছিল।
শব্দব্যবহার ও ভাষাভঙ্গি একই রকম বলে জ্ঞানদাসকে চন্ডীদাসের অনুসারী বলা হয়। অকৃত্রিম সহজ রচনারীতির দিক থেকে চন্ডীদাসের সঙ্গে তার মিল অবশ্যই আছে। কিন্তু জ্ঞানদাস একজন সতন্ত্র কবি। আধুনিক কালের গীতিকবিতার  বৈশিষ্ট তার পদে পাওয়া যাবে।
জ্ঞানদাসের নামে প্রায় শ'দুয়েক পদ চালু আছে। ব্রজবুলিতেও  তিনি অনেক পদ রচনা করেছেন। তবে তার বাংলা পদগুলো ব্রজবুলির পদের তুলনায় অনেক ভাল। তবে রুুপানুরাগের পর্যায়ের পদ গুলোই জ্ঞানদাসের কলমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। 
জ্ঞানদাস সঙ্গীত বিষয়েও একজন বিশেষজ্ঞ। একালে রবীন্দ্রনাথ  নজরুল  যেমন নিজেদের লেখার গানে সুর দিয়েছেন, সেকালে জ্ঞানদাসও একই কাজ করেছেন। সম্ভবত এ ক্ষেত্রে জ্ঞানদাস  বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্যক্তি, যিনি গান লিখে সুর দিয়েছেন। কীর্তন  গানেও তার দক্ষতা ছিল বলা হয়। কীর্তনের নতুন ঢঙ তিনি তৈরি করেছিলেন

বৈষ্ণব পদাবলি বা বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মসঙ্গীত সংগ্রহ। বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা ঘটে চর্তুদশ শতকে বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসের সময়ে, তবে ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়। বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের লীলা। বৈষ্ণব পদাবলী পুস্তকটি সংগ্রহ করেছেন বাবা আউল মনোহর দাস। বৈষ্ণব পদাবলীতে পাঁচ প্রকারের রস আমরা দেখতে পাই। যথা: শান্তরস, দাস্যরস, সখ্যরস, বাৎসল্যরস, মধুররস। শান্তরসে কৃষ্ণ ভগবান রূপে পাঠকের কাছে ধরা দেন। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিটি রসের মধ্যে দিয়ে ভগবান রূপ পরিত্যাগ করে ধীরে ধীরে মানব রূপে পাঠককুলের কাছে ধরা দিতে থাকেন। মধুর রসে গিয়ে কৃষ্ণ পুরোপুরি মানব রূপে পাঠককুলের সঙ্গে মিশে যান।
শ্রীকৃষ্ণ হলেন সৎচিৎআনন্দের মূর্তিমান বিগ্রহরূপ পরমাত্মা।রাধা তারই প্রকাশাত্মিকা শক্তিরূপ জীবাত্মা।শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী অংশ সঞ্জাত রাধা সৃষ্টি হয়েছেন তারই লীলাসুখানুভবের জন্য।শ্রীরাধা আয়ান বধূ।তাই শ্রীকৃষ্ণের সাথে তার প্রেম অসামাজিক, পরকীয়া।জীবও তেমনই তত্ত্বের দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণের স্বকীয় হলেও রূপরসগন্ধযুক্ত জগতের সঙ্গে সে এমনই নিবিড়ভাবে আবদ্ধ যে সে তার স্বকীয়তা ভুলে যায়।সেই ভুল ভাঙলে জীব ভগবানের ডাকে সাড়া দেয়, তখন ঘটে তার পরকীয়া অভিসার।এভাবেই তৈরী হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলীর তত্ত্ব। বৈষ্ণব পদাবলিতে পরমাত্মার সাথে জীবাত্মার মিলনই মুখ্য।
রাধাকৃষ্ণপদাবলীর প্রধান সুর বিরহের।এই বিরহসুরের রণনেই বাৎসল্যের, অনুরাগের এবং মিলনের শ্রেষ্ঠ পদগুলি উৎকর্ষপ্রাপ্ত। বিরহ বলতে মিলিত হবার আগে নায়ক নায়িকার মধ্যে দেশান্তর ইত্যাদির যে ব্যবধান। সংস্কৃত সাহিত্যে বিরহ প্রধানত পুরুষের তরফে অর্থাৎ নায়কের দিকে। যেমন:‌ঋক্ বেদে পুরুরবার বিরহ, রামায়ণে রামের বিরহ, মেঘদূতে যক্ষের বিরহ।নবীন আর্যভাষার সাহিত্যে তথা বৈষ্ণব গীতিকাব্যে বিরহ একান্তভাবে নারীরই।এর কারণ দুটি এক, ইতিমধ্যে সংসারে নারীর মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে। দুই, প্রাদেশিক সাহিত্যের প্রধান বিষয়গুলি মেয়েলি ছড়াগান থেকে গৃহীত। বৈষ্ণব পদাবলীতে মাথুর পর্যায়টি হলো বিরহের পর্যায়। বৈষ্ণব পদকর্তারা বৈষ্ণব পদাবলীতে যাকে "মাথুর" বলেছেন "উজ্জ্বলনীলমণি" বা "ভক্তিরসামৃতসিন্ধুতে" তাকেই "প্রবাস" বলে। বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গারের শেষতম অংশ হলো এই প্রবাস। বৈষ্ণব পদাবলীর বিরহের পদ "মাথুর" এই নামটির পেছনে কাজ করছে কৃষ্ণের মথুর যাত্রা।
Dr S Ghosal today uploads song called kirtan of his father with introduction recording and editing. Thanks for listening in auspicious day of Radhastomi.

posted by frezaretz