Learn how to get Free YouTube subscribers, views and likes
Get Free YouTube Subscribers, Views and Likes

জ্যোতি বসু ও মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুদের অজানা ইতিহাস। Marichjhapi u0026 Jyoti Basu

Follow
Sonar Bangla

জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুদের নির্মম ইতিহাস প্রকাশ্যে।

পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর উদ্যোগে ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মরিচঝাঁপি দ্বীপে যে বাঙালি উদ্বাস্তু গণহত্যার ঘটনা ঘটে, তা ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যার ভয়াবহতাকেও অতিক্রম করে গিয়েছিল বলে কেউ কেউ অভিমত দিয়েছেন। মরিচঝাঁপি গণহত্যার সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপট প্রথমে একটু বলে নেওয়া দরকার। ১৯৬০ সালের পর পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু দলিত উদ্বাস্তুদের একটি বড়ো অংশ পশ্চিমবঙ্গে এসে এই রাজ্যে পুনর্বাসন পায়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে রানাঘাটের উদ্বাস্তু শিবির থেকে তুলে নিঃস্ব, রিক্ত, অনগ্রসর এই বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাঙালির সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে রুক্ষ ও জঙ্গলাকীর্ণ দণ্ডকারণ্যে। আমরা রামায়ণে যে দণ্ডকবনের কথা পাই, সেই দণ্ডকারণ্যে। যেখানে বাঙালি উদ্বাস্তুদের বেঁচে থাকাই দায় ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী দলগুলি বাংলার সংস্কৃতি থেকে বহু দূরে দণ্ডকারণ্যে এই উদ্বাস্তুদের পাঠানোর বিরোধিতা করেছিল। তৎকালীন CPIMএর বিভিন্ন নেতাও দণ্ডকারণ্যে গিয়ে বাঙালি উদ্বাস্তুদের মধ্যে প্রচার চালিয়েছিলেন যে, বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে দণ্ডকারণ্যের বাঙালি উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। CPIM নেতা জ্যোতি বসুও এই প্রচারের অগ্রভাগে ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে এবং জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হন। এই ঘটনায় দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের মধ্যে আনন্দউৎসবের ঢেউ খেলে যায়। কারণ, এবার তারা দণ্ডকারণ্য ছেড়ে বাঙালি সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারবেন। শীঘ্রই কাতারে কাতারে উদ্বাস্তু পরিবার দণ্ডকারণ্য ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে আসতে শুরু করে। তারা কারো ভূসম্পত্তি জবরদখল করে নয়, পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনাঞ্চলের মরিচঝাঁপির নির্জন এলাকায় আশ্রয় নেয়। এরপর শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর খেলা। তার নির্দেশে উদ্বাস্তুদের আবার দণ্ডকারণ্যে ফেরৎ পাঠানোর উদ্দেশ্যে বাংলার পুলিশ নদীনালা, খাড়ি ঘেরা মরিচঝাঁপি দ্বীপ ঘিরে বহুদিন খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে রাখে। খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে উদ্বাস্তুদের এমন অবস্থা হয় যে, গাছের পাতা, বনের ঘাস খেয়েও তারা বেঁচে থাকার চেষ্টা করে, কিন্তু দণ্ডকারণ্যে ফিরে যেতে রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ চারিদিক থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে প্রচুর উদ্বাস্তুর মৃত্যু হয়। সরকার যাবতীয় তথ্য লোপাট করে দিলেও বিভিন্ন সূত্র সমন্বয় করে বোঝা যায় যে, গুলিতে অন্তত কয়েক হাজার উদ্বাস্তুর মৃত্যু হয়। বাকিরা কাঁদতে কাঁদতে আবার দণ্ডকারণ্যে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সূত্র নির্দেশ:
*********************
1. Markovits, Claude (6 November 2007) Retrieved 12 December 2011. 2. প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, প্রান্তিক মানব: পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু জীবনের কথা, 3. শ্রীহিরণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘উদ্বাস্তু’ 4. সদানন্দ বিশ্বাস, মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, 5. সুভাষ বিশ্বাস, দেশভাগ ও দেশত্যাগ: পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তুদের আগমন পর্যায়। 6. কলকাতানোয়াখালিবিহার 7. গড় শ্রীখণ্ড 8. Jaya Cheterjee, The Spoils of Partition, Bengal and India,19741967, 9. সৌমেন চক্রবর্তী, মানবাধিকার ও উদ্বাস্তু, 10. অনিল সিংহ, পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী সমস্যা, ঈশান 11. আনন্দবাজার পত্রিকা – ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২ জুলাই, ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ। ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। 12. Memorandum to the Members of Parliament when they visited Marichjhapi by Raiharan Barai. 13. পথ সংকেত, ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ 14. তেহাই পত্রিকা, ৩ বর্ষ, 15. আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৬ জুন, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ। ১৩ এপ্রিল, ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ। 16. “পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মরিচঝাঁপি সংক্রান্ত মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে জনসাধারণের কাছে মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তুদের সঠিক বক্তব্য” এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রচারপত্র। তারিখঃ১৬/২/১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। 17. শ্রীজ্যোতি বসু প্রচার পত্র, ১১ এপ্রিল, ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ। 18. যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪ সাল। 19. শৈবাল কুমার গুপ্ত, মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত মরিচঝাঁপি 20. কালান্তর, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২৫ মে, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২৬ মে, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। ২৭ মে, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ। 21. সবিতা ঢালীর অভিযোগ পত্র – তেহাই পত্রিকা, ৩য় বর্ষ, 22. জগদীশ মণ্ডল, মরিচঝাঁপি: নৈঃশব্দের অন্তরালে, কমলা বসুর চিঠি, সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত। 23. অমিত সর্বাধিকারী, মরিচঝাঁপি: নৃশংসতাঁর শেষ চিহ্ন, তেহাই পত্রিকা 24. মধুময় পাল সম্পাদিত, মরিচঝাঁপি: ছিন্ন দেশ, ছিন্ন ইতিহাস, 25. Richard Pipes. Russia Under the Bolshevik Regime.Vintage Books, 26. Montefiore, Simon Sebag (2005). Stalin: The Court of the Red Tsar. 27. Rummel, Rudolph J. (2007). China’s bloody century: genocide and mass murder since 1900, Transaction Publishers. 28. Chandler, David. The Killing Fields. At The Digital Archive Of Cambodian Holocaust Survivors. “Archived copy”. 29. Dinyu Sharlanov, History of Communism in Bulgaria 30. Valentino, Benjamin A (2005). Final solutions: mass killing and genocide in the twentieth century. 31. Cornell University Press. 32. Courtois, Stéphane ed.. (1999). The Black Book of Communism: Crimes, Terror, 33. Repression. 34. Talk of the Devil: Encounters with Seven Dictators by Riccardo Orizio, 35. Jones, Adam. Genocide: A Comprehensive Introduction (2nd ed.), 36. Times of India, Follow our Facebook Profile:   / subhasbiswaschak   *

* ভিডিওতে ব্যবহৃত ছবিগুলি প্রতীকী।
* আমাদের ভিডিওতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত তাদের নিজস্ব।

posted by hojalateroj3