ছ’ফুটের বেশি লম্বা। মেদহীন। আশ্চর্য ব্যক্তিত্ব! চেহারাটাও চোখ টানে। উজ্জ্বল দুটি চোখ। শানিত দৃষ্টি। বাজপাখির ঠোঁটের মতো নাক। সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃঢ় সংকল্প। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অভিব্যক্তি। চৌকোনা চোয়ালে দৃঢ় মানসিকতার লক্ষণ ফুটে ওঠে। আসিড, অন্যান্য কেমিক্যাল আর কালীর ঘাত–প্রতিঘাতে হাত দুটো বিবর্ণ। অথচ সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর এক্সপেরিমেন্টের সময় দক্ষ শিল্পীর মতো কাজ করে ওর হাতের আঙুল। শারীরবিদ্যায় পারদর্শী, নিখুঁত জ্ঞান। বর্তমান শতাব্দী চাঞ্চল্যকর সমস্ত ঘটনা একেবারে নখদর্পণে। আর যেটা সব থেকে ভালো পারে – বেহালা বাজাতে।
হ্যাঁ আশা করি সকলেই বুঝে গেছেন কার কথা বলছি। হ্যাঁ, আমি তাঁর কথা বলছি যার খোঁজে আজও চিঠি আসে ২২১ বি বেকার স্ট্রিট, লণ্ডন এড্রেসে। হ্যাঁ, আমি তাঁর কথা বলছি যিনি নিজেকে পরিচয় দেন ‘কনসালটিং ডিটেকটিভ’ বলে। হ্যাঁ আমি তাঁর কথা বলছি যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জন্ম নিয়েছে আরও হাজারো ‘কনসালটিং ডিটেকটিভ’, এমনকি বাংলা সাহিত্যও বাদ যায়নি তাঁর ক্যারিশ্ম্যাটিক জাদু স্পর্শ থেকে। হ্যাঁ আমি তাঁর কথা বলছি আমাদের ফেলুদাও যাঁকে মেনে নিয়েছেন ‘গুরু’ বলে। তিনি হলেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েলএর অমর সৃষ্টি শার্লক হোমস।
ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসএর আত্মপ্রকাশ ১৮৮৭ সালে “আ স্টাডি ইন স্কারলেট” উপন্যাসের মাধ্যমে।
প্রায় তর্কাতীতভাবে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমসকে নিয়ে বিভা ক্যাফের প্রথম নিবেদন “আ স্টাডি ইন স্কারলেট”। আজকে রইল উপন্যাসটির প্রথম পর্ব।
সাবস্ক্রাইব করা না থাকলে আজই সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল আর ক্লিক করে রাখুন রিং বেল আইকনে। ধন্যবাদ।